উচ্চ আদালতে ছয় মাসের সুরক্ষা পেলেন ড. ইউনূস

ঢাকা থেকে শাহরিয়ার শরীফ
2015.04.14
BD-Yunus দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে অংশ নিয়ে ড. ইউনূস বিপুল অর্থ উপাজর্ন করেন। ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর নেপালে সামাজিক ব্যবসা ও ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক জাতীয় সেমিনারে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখেন। ছবিঃ ২১ ডিসেম্বর,২০১২
বেনার নিউজ

আগামী ছয় মাস ড. ইউনূসের কাছ থেকে  দান কর আদায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। ২ এপ্রিল এ আদেশ দেন উচ্চ আদালত, যা প্রকাশ হয় কয়েকদিন পর।

ইতিমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)  বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ড. ইউনূস বা তার আইনজীবীকে ১৩ এপ্রিল পুনরায় কর বিভাগের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হয়নি।

উল্লেখ্য, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দানের অর্থ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল এনবিআর।  

এনবিআর দাবি করে, ২০১১-১২, ২০১২-১৩ ও ২০১৩-১৪ করবর্ষে জমা দেওয়া বার্ষিক আয়কর বিবরণীতে প্রদর্শিত দানের অর্থের ওপর ড. মুহাম্মদ ইউনূস কর দেননি।

এই সময়ে তিনি ৭৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা দান করেছেন। কিন্ত এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, দান কর বাবদ ১৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা জমা করেননি ড. ইউনূস।

এ নিয়ে গত ৫ মার্চ উচ্চ আদালতে রেফারেন্স মামলা করেন ড. ইউনূসের আইনজীবীরা। এই রেফারেন্স মামলার আলোকে উচ্চ আদালত এই স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

বকেয়া কর আদায়ে গত ২৯ মার্চ ড. ইউনূস কিংবা তাঁর প্রতিনিধিকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কর অঞ্চল-৬-এর কমিশনার মেফতাহ উদ্দিন খান। ড. ইউনূসের আইনজীবীরা সেদিন কর কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে দুই সপ্তাহ সময় চান। এর প্রেক্ষিতে গতকাল ১৩ এপ্রিল পুনরায় আলোচনার দিন নির্ধারন করা হয়। ইতিমধ্যে আদালত স্থগিতাদেশ দিলেন।

“যেহেতু উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে, তাই এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করার আর সুযোগ বা প্রয়োজন নেই”,  জানতে চাইলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগত কর পরামর্শক ও সাবেক কর কমিশনার মাহবুবুর রহমান বেনারকে  একথা বলেন।
মাহবুবুর রহমান  বলেন,  তিনি (ড.  ইউনূস) বিপুল অর্থ প্রবাসী আয় হিসেবে দেশে এনেছেন, যা করমুক্ত। আর যে টাকা তিনি দান করেছেন, তাতে কর অব্যাহতি দেওয়া রয়েছে।

তবে কর কমিশনার মেফতাহ উদ্দিন খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি কোন কথা বলতে রাজী হননি।

“বিশ্বজুড়ে নন্দিত এই নোবেলজয়ীকে আমরা সম্মান দেখাতে পারিনি। দেশের সবাই জানেন যে, তিনি সরকােরর রোষানলে পড়েছেন। এটা জাতি হিসাবে আমাদের দৈন্য প্রকাশ করে”, বেনারকে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ অধ্যাপক মনসুর মূসা।

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।