নাশকতার আশংকার মধ্যেই তাজিয়ার মিছিলে গ্রেনেড হামলা

ঢাকা থেকে শাহরিয়ার শরীফ
2015.10.26
BD-shia শিয়াদের তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলায় আহত এক কিশোরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। ২৪ অক্টোবর, ২০১৫
এএফপি

সরকারের নীতি নির্ধারক পর্যায়ের অনেকে এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশে বড় ধরনের নাশকতার আশঙ্কা করে আসছে, যার সর্বশেষ দৃষ্টান্ত গত শনিবার ভোররাতে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত তাজিয়া মিছিলে গ্রেনেড হামলা।

ওই হামলায় ১৬ বছরের এক কিশোর নিহত হয়েছে, আহতের সংখ্যা প্রায় এক’শ। ইমামবাড়ার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মির্জা নকি হাসান বলেন, হোসেনি দালানের ৪০০ বছরের ইতিহাসে এ রকম ঘটনা এটাই প্রথম।

১০ মহররম হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.)-এর শহীদ হওয়ার দিবসটিকে শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবে পালন করে। এর কয়েক দিন আগে থেকেই হোসেনি দালানকে কেন্দ্র করে নানা অনুষ্ঠান পালন করা হয়।

ঘনবসতিপূর্ণ পুরান ঢাকায় তিন একর জমির ওপর অবস্থিত হোসেনি দালান ইমামবাড়া। এখান থেকে বের হয় তাজিয়া মিছিল। সুন্নি সম্প্রদায়ের অনেকেও সেখানে যান। দুর্গাপূজা, তাজিয়া মিছিল, পয়লা বৈশাখের মতো অনুষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের সব ধর্মের মানুষ সর্বজনীনভাবে পালন করে।

“অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্য নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে। একের পর এক যেসব ঘটনা ঘটছে তাতে দেখা যায় ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করা, বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা এবং নাগরিকদের উদ্বিগ্ন করে তোলাই দুষ্কৃতকারীদের মূল লক্ষ্য,” বেনারকে জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, যিনি ১৪ দলীয় মহাজোট সরকারের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি।     

“বিদেশি হত্যা, এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা হত্যা, তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় গ্রেনেড হামলা-সব দেখে প্রতীয়মান হচ্ছে এগুলো সব একসূত্রে গাঁথা,” বেনারকে জানান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্র যারা যুদ্ধাপরাধীর বিচার মেনে নিতে পারেনি, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়, তারাই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে।


ঢিলেঢালা নিরাপত্তা

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বলছেন, পবিত্র আশুরা উপলক্ষে হোসেনি দালান ইমামবাড়া ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল অনেকটা ঢিলেঢালা। ইমামবাড়ার কোনো ফটকে সার্চওয়ে ছিল না। মূল ফটকে যেসব পুলিশ ও র‍্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন, জনস্রোতের সামনে তাঁরা ছিলেন অনেকটা ‘দর্শকের’ মতো।

অবশ্য পুলিশ এই অভিযোগ মানতে নারাজ। ঘটনা তদন্ত এবং ওই সময় পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা ছিল কি না, তা নিরূপণের জন্য ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

“নিরাপত্তায় কোনো ফাঁকফোকর ছিল না। পুলিশ যখন ভোররাতের মিছিল এগিয়ে নেওয়ার জন্য ইমামবাড়ার ফটকের বাইরে অবস্থান নেয়, ঠিক তখনই হামলাকারীরা ইমামবাড়ার ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটায়,” জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

তাঁর মতে, বাইরে থেকে কোনো হামলা হয়নি। ভেতরে থাকা লোকদের মধ্য থেকেই কেউ গ্রেনেডগুলো ছুড়ে মেরেছেন।’

ভেতরে আসা লোকদের তল্লাশি করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে ইমামবাড়ার প্রধান তত্ত্বাবধায়ক মির্জা মো. ফিরোজ হোসাইন বলেন, “রাতে বিভিন্ন স্থান থেকে ছোট ছোট মিছিল এসে ঢুকছিল ইমামবাড়ার ভেতরে। এসব মিছিলে আসা লোকজনের হাতে-গায়ে লোহার চেইন বা চাকু লাগানো চেইনও থাকে। এত ভিড়ের মধ্যে বিপুলসংখ্যক লোকজনকে তল্লাশি করা সম্ভব নয়।”

“নিরাপত্তার কোথাও ফাঁকফোকর ছিল কি না, সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি। যদি কোনো গাফিলতি থাকে, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে,” জানান পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মফিজ উদ্দিন আহমেদ।

ওই হামলার ঘটনায় গত রোববার চকবাজার থানার উপপরিদর্শক মো. জালালউদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলায় ১১৫ জন আহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। মামলাটি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

“এ ধরনের উন্মুক্ত জায়গায় শতভাগ নিরাপত্তা দেওয়া খুব কঠিন। ইউরোপ-আমেরিকার মতো দেশেও এমন হামলা হয় এবং হামলাকারীরা নির্বিঘ্নে চলে যেতে সক্ষম হয়,” বেনারকে জানান নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইশফাক ইলাহী চৌধুরী।


নাশকতার আশঙ্কা ছিল

গত বৃহস্পতিবার রাতে গাবতলীতে তল্লাশি করার সময় ছুরি মেরে পুলিশের এএসআই ইব্রাহিম মোল্লাকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার মাসুদ রানার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা ও বগুড়া থেকে ২৮ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য উদ্ধৃত করে পুলিশ জানিয়েছিল, বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা হচ্ছে।

এর আগে ২১ অক্টোবর বুধবার দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে তাজিয়া মিছিলের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব সরকারকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘তাজিয়া মিছিল বাস্তবায়ন কমিটিকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ১২টার পরে তাজিয়া বের করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

ডিএমপির কমিশনার বলেন, “এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা হত্যার সঙ্গে হোসেনি দালানে হামলার যোগসূত্র রয়েছে। গাবতলীতে খুনের ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা একজনের তথ্যের ভিত্তিতে কামরাঙ্গীরচরে অভিযান চালিয়ে যে পাঁচটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে, সেই একই রকম হাতে তৈরি গ্রেনেড তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে।”


ক্যামেরায় সবকিছু ধারণ হয়েছে

নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় ইমামবাড়ার ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে যুক্ত করা হয়। ইমামবাড়ায় আগে থেকেই ১৬টি সিসি ক্যামেরা ছিল। আশুরা উপলক্ষে আরও ১৬টি ক্যামেরা বসানো হয়। নতুন করে বসানো ১৬টি ক্যামেরার দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশকে। ইমামবাড়ার ভেতরে লাইব্রেরিতে সেই ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণকক্ষ স্থাপন করা হয়।

পুলিশ জানায়, ইমামবাড়ার ভেতরের সব দৃশ্য এই ৩২টি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ইমামবাড়ার ভেতরে স্থাপন করা ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজে পুলিশ দেখেছে, পিন খুলে এক যুবক দুবার হাত ঘুরিয়ে কিছু একটা ছুড়ে দিচ্ছেন। আর বিকট শব্দে তা ফেটে যাচ্ছে।

শব্দের সঙ্গে সঙ্গে কেউ মাটিতে লুটিয়ে পড়ছেন, বাকিরা ছোটাছুটি করছেন নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে। কয়েকজন নিক্ষেপকারীকে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছেন। হামলার পর একজন চলে যাচ্ছে।

পুলিশ আরও জানায়, ইমামবাড়ার ভেতরের কবরস্থানের পাশ থেকে হামলা করা হয়েছে। হামলার পর কবরস্থানের ভেতর দিয়ে প্রাচীর টপকে চলে গেছে হামলাকারীরা। কিন্তু সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তাদের পালানোর দৃশ্য নেই। কারণ, কবরস্থান কোনো ক্যামেরার আওতায় ছিল না।

ভেতরে আসা লোকদের তল্লাশি করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে ইমামবাড়ার প্রধান তত্ত্বাবধায়ক মির্জা মো. ফিরোজ হোসাইন বলেন, রাতে বিভিন্ন স্থান থেকে ছোট ছোট মিছিল এসে ঢুকছিল ইমামবাড়ার ভেতরে। এসব মিছিলে আসা লোকজনের হাতে-গায়ে লোহার চেইন বা চাকু লাগানো চেইনও থাকে। এত ভিড়ের মধ্যে বিপুলসংখ্যক লোকজনকে তল্লাশি করা সম্ভব নয়।

“আমাদের সৌভাগ্য ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে। ক্ষতি আরও বেশি হতে পারত। এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করতে হলে সব বাহিনীর দক্ষতা বাড়াতে হবে,” জানান ইশফাক ইলাহী


আইএস দায় স্বীকার করলেও সরকার মানে না

ঘটনার পর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলারও দায় স্বীকার করেছে। শনিবার এ কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ’।

আইএসের পক্ষ থেকে দায় স্বীকার করার দাবি করা হলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, আইএস নয়, বরং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে শিয়া স্থাপনায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।

সরকার কেন আইএসের কথিত এ দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না-জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইসলামিক স্টেট এখানে নিছক একটা প্রোপাগান্ডা। বাংলাদেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আসলে যারাই আইএস, তারাই জেএমবি, তারাই হুজি, তারাই আবার আনসারুল্লাহ্ বাংলা টিম।’

এর আগে ঢাকা ও রংপুরে দুই বিদেশি হত্যার দায় স্বীকার করেও আইএসের নামে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। যদিও পুলিশ বলেছিল, বাংলাদেশ থেকেই আইএসের নামে দায় স্বীকার করে টুইট করা হয়েছে।


পারস্পরিক দোষারোপ চলছেই

প্রতিটি বড় ঘটনার পর সরকার বিরোধী জোট বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে। আর বিএনপি-জামায়াত দায়ী করে সরকারের ব্যর্থতা ও দুঃশাসনকে।

“সাম্প্রতিক হামলাগুলো কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশ কিংবা সামাজিক কারণে হয়নি। এগুলো পরিকল্পিত এবং এর মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত জোট লাভবান হতে চায়,” বেনারকে জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

হোসেনি দালানে বোমা হামলার ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে বিএনপি।

“সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে এবং জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এটি বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার চক্রান্ত,” এক বিবৃতিতে বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যথাযথভাবে কাজে না লাগিয়ে বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়ার কারণেই পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে।

অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের জানান, “আগুন সন্ত্রাস থেকে সরে গিয়ে তারা অন্য পথ বেছে নিয়েছে। তবে আমরা দ্রুততার সঙ্গে অপরাধীকে খুঁজে বের করতে পারব।”


বহির্বিশ্বে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া, সরকার চিন্তিত

তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির আগে গ্রেনেড হামলা ও বিদেশি খুনের ঘটনায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে-এ আশঙ্কায় চিন্তিত সরকার। পাশাপাশি পর্যাপ্ত নিরাপত্তার মধ্যে একের পর এক হামলার ঘটনায় দেশের মানুষের মধ্যে একধরনের ভীতি তৈরি হয়েছে বলে সরকারের মধ্যে আলোচনা আছে।

সরকারের একাধিক নীতিনির্ধারক ও মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকার সচেতন ছিল যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় বাস্তবায়নের সময় নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। এর জন্য প্রস্তুতিও আছে। দুই বিদেশি ও এক পুলিশ সদস্যকে হত্যার ঘটনা যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রতিক্রিয়া হিসেবেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু তাজিয়া মিছিলে গ্রেনেড হামলা নতুন ভাবনার জন্ম দিয়েছে।

তাঁদের মতে, সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে দেশে সংকট আছে, এটা প্রমাণ করার দেশি-বিদেশি তৎপরতার অংশ হিসেবে এসব হচ্ছে।


যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার সতর্কতা জারি

যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণ ও চলাফেরায় নতুন করে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে । গত শুক্রবার রাতে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে গ্রেনেড বিস্ফোরণে হতাহতের পর শনিবার দেশ দুটি এ সতর্কতা জারি করে।

গ্রেনেড বিস্ফোরণের ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও হতাহত ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।


মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।