টেকনাফে ‘মালয়েশিয়া এয়ারপোর্ট’! সেন্ট মার্টিনে আটক আরো ১১৬

ঢাকা থেকে শাহরিয়ার শরীফ
2015.05.13
BD-traficking সেন্ট মার্টিনে শাহপরীর দ্বীপের কাছে ১১৬ জনকে বহন করা ট্রলারটি আটক করে নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ডের একটি দল। ১৩ মে,২০১৫
বেনার নিউজ

আপডেটঃ ১৪ মে,২০১৫, সকাল সাড়ে ১০টা ইস্টার্ন টাইম

সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিগামী ১১৬ যাত্রীসহ বঙ্গোপসাগরে আটক ট্রলারটি সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফ আনা হয়েছে। ১২ মে   থাই নাগরিকের মালিকানার এই ট্রলার টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশনে নিয়ে আসে কোস্টগার্ড ও নৌ-বাহিনীর একটি দল। এরপর উদ্ধার যাত্রীদের টেকনাফ পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

কত কয়েকদিনে এইসব ভাগ্যান্বেষী মানুষ পাচারে যেসব দালাল ও পাচারকারী পুলিশের তালিকায় রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় অভিযান শুরু হয়েছে, বন্দুকযুদ্ধে মারা পড়েছে কয়েকজন এবং পুলিশ গ্রেফতারও করেছে বেশ কয়েকজনকে।

সম্প্রতি থাইল্যান্ডের গহীণ জঙ্গলে গণকবর আবিষ্কারের পর মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করা হলে আটকের আগে জাহাজটি থাই সীমান্তের কাছাকাছি গিয়ে ফেরত আসে।

কোস্টগার্ড কর্মকর্তা  জানান, দীঘর্সময় ধরে  একেকজনকে একেক সময়ে ওই জাহাজে তোলা হয়। অন্তত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এসব লোকজনকে নিয়ে জাহাজটি সাগরে ভাসছিল। দীর্ঘদিন ধরে সাগরে ভাসতে থাকা ট্রলারটিতে খাদ্য ও পানীয় সংকটের পাশাপাশি থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া সীমান্তে কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়ানোর ফলে এসব লোকজনকে পাচার করা সম্ভব হয়নি।

কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার কাজী ফরিদুজ্জামান উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের বরাত দিয়ে জানান, উদ্ধার হওয়া লোকজনকে বাংলাদেশি বিভিন্ন ফিশিং ট্রলারে করে পাচারকারীরা মিয়ানমারের জলসীমায় একটি জাহাজে জড়ো করেছিল।

অবস্থা বেগতিক দেখে পাচারকারীরা ছোট ছোট ট্রলার ও নৌকাযোগে জাহাজটির লোকজনকে এনে বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় ছেড়ে দেওয়া শুরু করে।

১২ মে ১১৬ জন যাত্রীসহ উদ্ধার হওয়া ট্রলারটিও এ ছোট ট্রলারগুলোর একটি।

টেকনাফ থানার ওসি আতাউর রহমান খন্দকার জানান, উদ্ধার হওয়া লোকজন থানা হেফাজতে রয়েছেন। অবৈধভাবে পাচারের শিকার এসব লোকজনকে কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হবে।


'মালয়েশিয়া এয়ারপোর্ট'

টেকনাফের কাটাবুনিয়া ঘাট স্থানীয়দের কাছে ‘মালয়েশিয়া এয়ারপোর্ট’ নামে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় অনেকটা নিরাপদ এ ঘাটটি বেশি ব্যবহার করে পাচারকারীরা।

এ ছাড়া টেকনাফ-উখিয়া-কক্সবাজারের আরও নয়টি ঘাট দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই নির্বিঘ্নে চলছে মানব পাচার। তবে কাটাবুনিয়ার মতো খুড়েরমুখ ও সোনাপাড়া ঘাট দুটিও ব্যাপক ব্যবহারের কারণে ‘মালয়েশিয়া এয়ারপোর্ট’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে স্থানীয় লোকজন, পাচারকারি ও পাচার হওয়া হতভাগাদের কাছে।

এসব এলাকায় সাগর পাড়ি দেওয়ার জন্য ৯-১০দিনের প্রস্তুতি হিসেবে শুকনো খাবার, ওষুধ, লাইফ জ্যাকেটসহ আনুষাঙ্গিক সরঞ্জামের প্রচুর দোকান রয়েছে। রয়েছে মুঠোফোনের মাধ্যমে টাকা লেনদেনের সুবিধাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এসবের মাধ্যমেই মুক্তিপণের টাকা আদায় করা হয়।

ওই এলাকার আশেপাশে গড়ে উঠেছে অনেকগুলো কথিত হোটেল, যেগুলোতে সাগর পাড়ি দিতে আসা লোকজন প্রতিরাত ন্যূনতম ৫০০ টাকা দিয়ে থাকতে পারে।

সাগরপাড়ি দিয়ে গিয়ে নির্যাতিত হয়ে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। তবুও নিজেকে ভাগ্যবান ভাবেন যে বেঁচে ফিরতে পেরেছেন, এমন মানুষের সংখ্যাও এখন প্রচুর।

২০১৩ সালের শেষের দিকে ‘কাটাবুনিয়া এয়ারপোর্ট’ থেকে ছোট নৌকায় আরো অনেকের সঙ্গে যাত্রা শুরু করেছিলেন কামাল হোসেন। সেন্ট মার্টিনের কাছাকাছি সাগরে অপেক্ষমাণ একটি বড় থাই ট্রলারে ওঠেন। ট্রলারটি আট দিন সাগরে চলার পর থাইল্যান্ডের উপকূলে পৌছায়।

“এরপর থেকে শুরু হয় নির্যাতন। নির্যাতনের মুখে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বাধ্য হয়েছিলাম,” বেনারকে জানান কামাল।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডার ডেইল এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে কামাল হোসেন তুলে ধরেন মালয়েশিয়ায় দালালদের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হওয়ার কাহিনী।

“ যোগাযোগ করার পর আমার পরিবার টেকনাফের দালালদের হাতে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা তুলে দেয়। এরপর আমাকে থাইল্যান্ড সীমান্ত অতিক্রম করে মালয়েশিয়ার গহিন জঙ্গলে ঢুকিয়ে দেয় দালালরা। সেখানে অনাহারে-অর্ধাহারে কিছুদিন থাকার পর লোকালয়ে প্রবেশ করি কাজের সন্ধানে,” জানান কামাল।

“অবৈধ হওয়ায় সেখানে ছিল পুলিশের কাছে ধরা পড়ার ভয়। কাজ শেষ করে রাতে আবার ফিরে যেতাম জঙ্গলে। এভাবে এক বছর কাটানোর পর পোকামাকড়ের কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় চিকিৎসাও করাতে পারিনি,” দুর্ভোগের কথা এভাবে তুলে ধরলেন ওই যুবক।

কামাল আরও জানান, “একপর্যায়ে দালালদের মাধ্যমেই আবার দেশে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরিবার বিমান ভাড়াসহ ফিরে আসার খরচ পাঠায়। এরপর দেশে ফিরে আসি। এসে দেখি বাড়ির ভিটেটুকুও বেচতে হয়েছে আমাকে ফিরিয়ে আনতে।”

কামাল হোসেনের মতো দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হয়েছেন একই এলাকার জাফর আলমের ছেলে আবুল মঞ্জুর, শাহাব মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া, লম্বরীর ইমাম হোসেন, কেরুনতলীর মো. আলী।

তাঁদের একেক জনের প্রতারিত হওয়ার কাহিনী একেক রকম। তবে সাগর পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ড উপকূলে পৌঁছানোর পর বন্দিশালায় নির্যাতনের কাহিনী প্রায় একই রকম।

এতদিন ধরে এতোসব কাহিনী ঘটে আসলেও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় মানবপাচারকারি চক্র এমন ধারনা তৈরি করেছে যে, সাগর পাড়ি দিতে পারলেই থাইল্যান্ড, এরপরে মালয়েশিয়া। একবার যেতে পারলেই নিশ্চিত কাজ, আর মোটা অঙ্কের বেতন, যা ঘুরিয়ে দেয় ভাগ্যের চাকা।

আর এই লোভেই মানব পাচারকারীদের সহজ শিকারে পরিণত হয়েছেন হাজারো তরুণ ও যুবক। কক্সবাজারের টেকনাফ হয়ে উত্তাল সাগরপথে হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ডে যেতে ছোট ছোট নৌকায় উঠেছিলেন হাজারো ভাগ্যান্বেষী যুবক।

টেকনাফের সাগর তীরবর্তী কয়েকটি এলাকায় ‘মালয়েশিয়া এয়ারপোর্ট’ হিসেবেও পরিচিতি পেলেও কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও টেকনাফের মোটামুটি ৬০টি পয়েন্ট দিয়ে নিয়মিত ছোট নৌকায় চেপে সাগরে ভাসেন এসব মানবপাচারের শিকার মানুষগুলো।

এর মধ্যে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছটা, ফিশারিঘাট, নাজিরাটেক, সমিতিপাড়া, মহেশখালীর সোনাদিয়া, গোরকঘাটা, কুতুবজোম, ধলঘাটা, উখিয়ার সোনারপাড়া, রেজুরখাল, ইনানী, ছেপটখালী, মনখালী, টেকনাফের বাহারছড়া, সাবরাং, শাহপরীরদ্বীপ, ঘোলারপাড়া, মাঝরপাড়া, পশ্চিমপাড়া, কাটাবনিয়া, খুরেরমুখ, হাদুরছড়া, জাহাজপুরা, কচ্ছপিয়া, শামলাপুর, সদরের ঈদগাঁও, খুরুশকুল, চৌফলদণ্ডী, পিএমখালী, চকরিয়া, পেকুয়া, চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা ও পটিয়া উল্লেখযোগ্য।

“৬০ কেন, ১২০ কিলোমিটারের পুরো সাগর উপকূলটাই আদম পাচারের নিরাপদ পয়েন্ট,” ৬০টি স্থান দিয়ে মানব পাচার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেনারকে বলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মেদ।

পুলিশের ওই কমকর্তা জানান, “কোনো পয়েন্টেই পুলিশের সার্বক্ষণিক টহল থাকে না। মানব পাচারের খবর পেলেই নিকটস্থ ফাঁড়ি থেকে গিয়ে পুলিশ অভিযান চালায়।”

“প্রতি রাতে ৪০-৫০ জন যাত্রীকে নৌকায় তুলে গভীর সাগরে অপেক্ষমাণ থাইল্যান্ডের ছোট জাহাজে তুলে দিতাম। আমরা জানতাম এরা বিদেশ যাচ্ছে। কিন্তু এখন জানছি তাদের সর্বনাশ হওয়ার কথা,” বেনারকে বলেন দরিয়ানগরের একটি নৌকার সারেং নুরুল ইসলাম।

দুর্ভোগের শিকার একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাগরে এদের সঙ্গী বিরূপ প্রকৃতি ও মানব পাচারকারীদের অমানবিক আচরণ। সাগরে নিয়েই তাদের অনেককে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করা হয়। টাকা না দিলেই মৃত্যু।

আবার সাগর পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ডের সীমানায় প্রবেশ করেও মুক্তি নেই। জঙ্গলের ক্যাম্পে জিম্মি করে এদের কাছ থেকে আদায় করা হয় মুক্তিপণ।

এই মুক্তিপণ গ্রহণ-প্রদানের জন্য টেকনাফে গড়ে উঠেছে অনেকগুলো ‘বিকাশ’ (মুঠোফোনে ব্যাংকিং) দোকান। এখানেই পাওয়া যায় সাগর পাড়ি দেওয়ার জন্য হালকা খাবার, লাইফ জ্যাকেট ও অন্যান্য সামগ্রীও।

কক্সবাজার পুলিশের হিসেবে, গত আড়াই বছরে টেকনাফ হয়ে অন্তত ৫০ হাজার তরুণ যুবক থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন।

গত ৮ মে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজারের মতো বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা মানব পাচারের শিকার হয়েছেন। যাদের প্রায় সবাই টেকনাফের এসব পথ দিয়ে সাগর পাড়ি দিয়েছেন।

এসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোতে ছাড়া ছাড়া সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিকার হয়নি।

মাঝে মাঝেই সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী ও নৌবাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন নৌকা ভর্তি মানুষ। সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকা ডুবে বহু মানুষের মারা যাওয়ার খবরও গণমাধ্যমে এসেছে। তবে এসব নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

“প্রায় প্রতি রাতে দরিয়ানগর সৈকত দিয়ে মানব পাচার করা হয়। মানব পাচারে নেতৃত্ব দেন কলাতলী গ্রামের একাধিক দালাল,” বেনারকে জানান কক্সবাজারের কলাতলী এলাকার জেলে গিয়াস উদ্দিন। তাঁর সঙ্গে থাকা হামজা আলীও জানালেন একই তথ্য।

কক্সবাজার ১৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম বলেন, “দরিয়ানগর, হিমছড়িসহ বিভিন্ন উপকূল দিয়ে রাতের অন্ধকারে বিপুলসংখ্যক মানব পাচার হচ্ছে—এমন খবর বিজিবির কাছে আছে।”

গত ২ এপ্রিল রাতে দরিয়ানগর জঙ্গলে মানব পাচারকারীদের আস্তানায় অভিযান চালাতে গিয়ে বন্য হাতির আক্রমণে বিজিবির একজন সদস্য নিহত হন। মূলত এর পর থেকে রাতে বিজিবির অভিযান বন্ধ আছে।

গত সপ্তাহে থাইল্যান্ডের জঙ্গলে মানবপাচারকারীদের একটি ক্যাম্পের গণকবর থেকে ২৬ জনের দেহাবশেষ উদ্ধারের পর সরকারের টনক নড়ে।

এরপরে গত সোমবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, “অবৈধভাবে যারা থাইল্যান্ডে লোক পাঠিয়েছেন, তাদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই আপনারা কিছু অগ্রগতি দেখেছেন।”

সরকার নড়ে চড়ে বসার পরে চলতি সপ্তাহেই কক্সবাজারে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে পাঁচজন সন্দেহভাজন মানবপাচারকারী নিহত হয়েছেন।

“ আমরা হতাশ হচ্ছি এটা দেখে যে, এদের ধরে এনে বিচার করার বদলে তাদের কেউ কেউ ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যাচ্ছে। এতে করে সমস্যার গোড়ায় আর হাত দেওয়া যাচ্ছে না। মানব পাচার সমস্যাকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনায় সরকার সত্যিই আন্তরিক কি না, এসব দেখে সেই সন্দেহ বেড়ে যাচ্ছে ,” ১৩ মে দৈনিক প্রথম আলোকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) চেয়ারপারসন ড. তাসনীম সিদ্দিকী, যিনি অধ্যাপনা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে।

মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের সুবিধার্থে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) চুক্তি হয়েছে। তবু অবৈধ পথে মালয়েশিয়াগামী লোকের সংখ্যা বাড়ার কারণ সম্পর্কে ড. তাসনীম জানান, “উদ্যোগটি একপ্রকার ব্যর্থ হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় গত চার বছরে সাড়ে সাত হাজার কর্মী মালয়েশিয়া গেছেন। অথচ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের চাহিদার বিবেচনায় এ সময়ের মধ্যে অন্তত পাঁচ লাখ কর্মী ওই দেশে যাওয়ার কথা। ।”

চুক্তিটি ব্যর্থ হওয়ায় অবৈধ পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে বলে মনে করেন ওই অধ্যাপক।

ড. তাসনীমের মতে, অবৈধ পথে অভিবাসন এখন শুধু বাংলাদেশের সমস্যা না। এটির সঙ্গে বেশ কটি দেশ জড়িত। তাই এসব সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হলে আন্তরাষ্ট্রীয় যৌথ কমিশন গঠন করতে হবে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক, বিশেষ করে জাতিসংঘ এবং সার্ক ও আসিয়ানের মতো আঞ্চলিক সহযোগিতার ফোরামের ভেতর জোরালোভাবে আলোচনা করতে হবে।

 

(সংশোধনঃ স্টোরিতে ভুলক্রমে ১১৬ জন ১৩ মে ধরা পড়ে বলা হয়েছিলো, আসলে তা হবে ১২ মে মঙ্গলবার।)

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।