যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমের ফাঁসি বহাল, সব জল্পনা-কল্পনার অবসান

ঢাকা থেকে শাহরিয়ার শরীফ
2016.03.08
BD-warcrimes গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী-সংগঠকেরা রায়ের খবর পাওয়ার পর শাহবাগে উল্লাস প্রকাশ করেন।
বেনার নিউজ

গত কয়েক দিনের টানা বিতর্ক ও সব ধরনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে একাত্তরের কুখ্যাত গুপ্তঘাতক মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণার আগে বিচারাধীন বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় সরকারের দুই মন্ত্রীকে তলব করেছেন উচ্চ আদালত।

ফাঁসির রায় ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় মীর কাসেমের দল জামায়াতে ইসলামী আজ বুধবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে হরতাল প্রত্যাখ্যান করে মিছিল-সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ।  

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলী দলটির অর্থের জোগানদাতা হিসেবে পরিচিত। বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বন্ধের ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও তিনি যুক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে।

কাশিমপুর কারাগারে বন্দী মীর কাসেমকে তার ফাঁসির আদেশ বহাল থাকার খবর গতকালই জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। গতকাল এই রায়ের পর কার্যত মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। এখন বাকি কিছু আনুষ্ঠানিকতা।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মীর কাসেমের আপিলের রায় ঘোষণা করেন। তিন লাইনের সংক্ষিপ্ত রায়ে আপিল বিভাগ জানিয়ে দেন, মীর কাসেমের আপিল আংশিক মঞ্জুর হয়েছে।

এর মধ্যে একাত্তরের কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে হত্যার দায়ে মীর কাসেমের সর্বোচ্চ সাজা বহাল রাখা হয়। আরও ছয়টি অভিযোগে মীর কাসেমের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড বহাল রাখেন আদালত। তবে তিনটি অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়।

এ নিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আপিলের সপ্তম রায় ঘোষণা করলেন সর্বোচ্চ আদালত। এর আগে আপিল বিভাগের রায়ে ফাঁসি কার্যকর হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, দুই সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লার।

আপিলের রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড ভোগ করছেন জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। আর জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির আদেশ দিলেও আপিল বিভাগ এখনো তাঁর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেননি।

রায়ের পর আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল, ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও তদন্ত সংস্থার সদস্যরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, স্বস্তি দেখা গেছে বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে।

অন্যদিকে রায়ের পর আসামিপক্ষ বলেছে, পূর্ণাঙ্গ রায় দেখে তা পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) বিষয়ে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।


বিতর্কের অবসান, দুই মন্ত্রীকে তলব

গত কয়েক দিন ধরে আলোচিত এ রায় নিয়ে টানা বিতর্ক চলেছে। গত শনিবার এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে মীর কাসেমের মামলা পুনঃশুনানির দাবি জানান খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। একই অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সেই থেকে বিতর্কের শুরু।

এ নিয়ে গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, দুই মন্ত্রীর বক্তব্য সরকারের বক্তব্য নয়। চলমান এই বিতর্কের মধ্যেই মীর কাসেমের রায় কী হয়, তা জানতে গতকাল সবার দৃষ্টি ছিল সর্বোচ্চ আদালতের দিকে।

গতকাল অবশ্য মীর কাসেমের রায় ঘোষণার আগে আপিল বিভাগের নয় সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ খাদ্যমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল দিয়েছেন ও তাঁদের আদালতে তলব করেছেন।

আদেশে বলা হয়, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রচারিত কিছু সংবাদে বিচার বিভাগ নিয়ে অশোভন ও অবমাননাকর মন্তব্য দেখে আদালত স্তম্ভিত। এসব মন্তব্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের শামিল বলে আদালত মনে করেন।

আদালত বলেন, তাঁদের ওই বক্তব্য বিচার বিভাগের সম্মান ও কর্তৃত্বকে ক্ষুণ্ন করেছে। এ জন্য আগামী ১৫ মার্চ সকাল নয়টায় তাঁদের আপিল বিভাগে সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

তবে ওই সময় খাদ্যমন্ত্রী দেশের বাইরে অবস্থান করায় আদালতের কাছে সময় চাইবেন। গতকাল সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।

“সরকারের দুই মন্ত্রীকে আদালতে তলব করার বিষয়টি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রমাণ,” গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এই মত প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যিনি নিজে আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন।

এদিকে গত কয়েক দিন ধরে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সমালোচিত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গতকাল কিছুটা কৌশলী বক্তব্য দিয়েছেন।

“কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এমন ভাব দেখাচ্ছেন যেন তাঁরাই যুদ্ধাপরাধের বিচার এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এটা ঠিক নয়। এই বিচার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর এই বিচার হচ্ছে-এটা ভুলে গেলে চলবে না,” রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।


একটিতে ফাঁসি বহাল, অন্যটিতে খালাস

২০১২ সালের ১৭ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মীর কাসেমকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল।

মীর কাসেমের বিরুদ্ধে ১১ নম্বর অভিযোগ, একাত্তরের পবিত্র ঈদুল ফিতরের পরদিন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে আটক করে আলবদর সদস্যরা ডালিম হোটেলের নির্যাতনকেন্দ্রে নিয়ে যায়। ২৮ নভেম্বর মীর কাসেমের নির্দেশে আলবদররা তাঁকে দিনভর নির্যাতন করে। নির্মম অত্যাচারে জসিম মারা গেলে তাঁকে নিহত আরও পাঁচজনের সঙ্গে কর্ণফুলি নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল সর্বসম্মতভাবে তাঁকে সর্বোচ্চ সাজার আদেশ দেন, আপিল বিভাগও সর্বসম্মতভাবে তা বহাল রাখেন।

১২ নম্বর অভিযোগ অনুসারে, একাত্তরের নভেম্বরের কোনো একদিন চট্টগ্রামের হাজারী লেনের বাসা থেকে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, রঞ্জিত দাস ও টুন্টু সেনকে আটক করে মীর কাসেমের নেতৃত্বাধীন আলবদর সদস্যরা। পরে জাহাঙ্গীরকে আলবদররা ছেড়ে দিলেও রঞ্জিত ও টুন্টুকে ডালিম হোটেলে নিয়ে নির্যাতন ও পরে হত্যা করা হয়। এই অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য মীর কাসেমকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দিলেও অপর সদস্য খালাস দেন। আপিল বিভাগ সর্বসম্মতভাবে এ অভিযোগ থেকে মীর কাসেমকে খালাস দেন।

ট্রাইব্যুনালের রায়ে আটটি অভিযোগে মীর কাসেমকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ছয়টিতে কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

ইসলামি ছাত্র শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর কাসেম একাত্তরে চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলে গড়ে তুলেছিলেন ভয়ংকর এক নির্যাতন কেন্দ্র, যাকে ‘ডেথ ফ্যাক্টরি’ বলে উল্লেখ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।


মীর কাসেমের স্ত্রীর প্রতিক্রিয়া

মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খোন্দকার আয়েশা খাতুন মন্তব্য করেছেন, তাঁর ফাঁসির রায় আপিল বিভাগে বহাল রাখার ‘আইনগত ভিত্তি নেই’।

গতকাল রায়ের পর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে যে সাক্ষ্যপ্রমাণ আনা হয়েছে, তা কোনোভাবেই অপরাধ প্রমাণে যথেষ্ট নয়। মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির বিভিন্ন মন্তব্য থেকে তা বোঝা যায়।

মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় বহাল থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। রায়ের পর সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, তাঁরা (আসামিপক্ষ) যদি রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনা) আবেদন দাখিল না করেন, তাহলে রায় কার্যকরের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সন্তোষ প্রকাশ, আনন্দ মিছিল

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি আপিল বিভাগে বহাল থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’ ৭১ ও গণজাগরণ মঞ্চ।

সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’ ৭১-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আলবদর বাহিনীর তৃতীয় প্রধান একাত্তরের কুখ্যাত এই যুদ্ধাপরাধীর যোগ্য শাস্তি নিশ্চিত হওয়ায় যুদ্ধাপরাধ বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সম্পন্ন হয়েছে।’

গতকাল সকাল সাড়ে আটটা থেকে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী-সংগঠকেরা। রায়ের খবর পাওয়ার পর মঞ্চের কর্মী-সংগঠকেরা উল্লাস প্রকাশ করেন। সেখান থেকে আনন্দ মিছিল করে তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ঘুরে আবার শাহবাগে ফিরে আসেন।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইমরান এইচ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, “এই রায়ে ধনকুবের যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমকে রক্ষার জন্য দেশবিরোধী অপশক্তির সব ষড়যন্ত্রের চূড়ান্ত পরাজয় হয়েছে। একই সঙ্গে মীর কাসেমের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার আহ্বান জানান ইমরান এইচ সরকার।”

মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকায় তাঁর জন্মস্থান মানিকগঞ্জে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশে এই মানবতাবিরোধীর ফাঁসি দ্রুত কার্যকর ও লাশ মানিকগঞ্জে দাফন না করার দাবি জানানো হয়।

রায় ঘোষণার খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মুক্তিযোদ্ধারা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে মিলিত হয়ে মিষ্টি বিতরণ করেন। এ সময় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মো. আসাদ উল্লাহ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তা অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি জানান।


জামায়াতের প্রতিক্রিয়া

‘জনগণ সরকারের দায়ের করা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার রায় প্রত্যাখ্যান করেছে’ বলে দাবি করেছে জামায়াতে ইসলামী।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে আপিল বিভাগ দলের নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণার পর এক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ এ দাবি করেন।

বিবৃতিতে ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে আনীত সরকারের অভিযোগের সঙ্গে তাঁর ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতাও নেই। বিবৃতিতে দাবি করা হয়, সরকার মিথ্যা, বায়বীয় ও কাল্পনিক অভিযোগে মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করেছে। এরপর দলীয় লোকদের দ্বারা আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দিইয়ে তাঁকে দুনিয়া থেকে বিদায় করার ষড়যন্ত্র করছে।


মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।