কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা ছাড়া পেয়েছে, তবে আলম আটক রয়েছে
2015.04.20

জম্মু ও কাশ্মির সরকার সোমবার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলী শাহ জিলানী, মীরওয়াইজ উমর ফারুক ও সৈয়দ সাবির শাহকে মুক্ত করে দিয়েছে যাতে উপত্যকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে না পড়ে। তবে, আরেক বন্দী মাসারাত আলম ভাটকে ছেড়ে দেয়া হয় নাই।
গত সপ্তাহে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক ২ যুবককে হত্যার পর এই নেতাদের গৃহবন্দী করে রাখা হয়। এতে প্রতিবাদ ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশের মুখপাত্র মানজ কুমার পান্ডিতা বেনার নিউজকে বলেন, রোববার আমরা সব বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের ছেড়ে দিয়েছি এবং তাদের বাড়ির বাইরে নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সরিয়ে নিয়েছি”।
প্রতিবাদ চলাকালে কাশ্মিরের বাদগাম জেলায় এক সপ্তাহ আগে সোহাইল আহমেদ সফি (১৫) সহ দুই বেসামরিক নাগরিককে নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরা হত্যার পর সরকার অধিকাংশ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের গৃহবন্দী করে রাখে।
গত ১৩ এপ্রিল ভারতীয় সেনাবাহিনী ২৫-বছর বয়েসি খালিদ মুজাফফর নামে আরেক বেসামরিক নাগরিককে দক্ষিণ কাশ্মিরের ট্রাল শহরে এনকাউন্টারের অভিযোগে হত্যা করে।
বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের মুক্তির পাশাপাশি শনিবারের হত্যাকান্ডে জড়িত ২ পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করে।ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ মুজতবা জিলানী বেনার নিউজকে বলেন, “অভিযানের প্রচলিত নিয়ম ভঙ্গের জন্য আমরা দুই পুলিশকে গ্রেফতার করেছি।পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ-ও এতে জড়িত এবং আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে”।
পুলিশের মুখপাত্র কুমার জানায়, প্রাথমিক তদন্তে এসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টার মাঞ্জুর আহমেদ শনিবার প্রতিবাদকারীদের দিকে গুলি চালানোর আদেশ দেন। তিনি বলেন, “ পুলিশ কন্সট্যাবল জাভেদ আহমেদ এএসআই মাঞ্জুর আহমেদের নির্দেশনা মেনে তার রাইফেল দিয়ে গুলি চালায়।যা প্রচলিত নিয়মের লংঘন।পুলিশ স্টেশনের প্রধান ইন্সপেক্টর খুরশেদ রেহমানকেও দায়িত্ব অবহেলার জন্য দায়ী করা হয়েছে”।
স্থানীয় বাসিন্দা নারবাল জানায়,শনিবার তরুনদের একটি দল ঐ এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা মাসরাত আলমের গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানাচ্ছিলো, পুলিশ তাদের দিকে গুলি ছোড়ে।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা উমর আহমেদ বেনারকে জানায়, “ পুলিশের গুলিতেই তরুন প্রতিবাদকারী সেখানে মারা যায়। পুলিশ সতর্কতার সাথে ঘটনা সামলাতে পারতো, তা না করে নিরীহ ছেলেটাকে মেরে ফেলে”।
নিহতের পরিবার দাবী জানায় সরকারের উচিত এই হত্যায় জড়িত পুলিশের শাস্তির ব্যবস্থা করা। সুহাইলের কাজিন তারিক আহমেদ বেনারকে বলেন, “সুহাইল ছিলো নির্দোষ, সে প্রতিবাদ কর্মসূচিতেও জড়িত ছিলো না। কোনো কারন ছাড়াই পুলিশ তাকে মেরে ফেলে।যারা এই হত্যায় জড়িত তাদের যেনো কঠিন সাজা দেয়া হয়”।