টানা চতুর্থবার সরকার গঠন নিশ্চিত করল আওয়ামী লীগ

কামরান রেজা চৌধুরী ও অয়ন আমান
2024.01.07
ঢাকা
টানা চতুর্থবার সরকার গঠন নিশ্চিত করল আওয়ামী লীগ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে রাজধানীর সেগুনবাগিচা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গণনার জন্য বাকশো থেকে ব্যালট পেপার বের করছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা। ৭ জানুয়ারি ২০২৪।
[মো. হাসান/বেনারনিউজ]

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জিতে টানা চারবারের মতো সরকার গঠন নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ, পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবার পথে শেখ হাসিনা।

বিরোধীদের বর্জনের মধ্যে একতরফা নির্বাচনে রোববার রাতে ফলাফল প্রকাশ শুরু হওয়ার পর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে হেভিওয়েট প্রার্থীদের পরাজয়ের বেশ কিছু ঘটনা চমক সৃষ্টি করেছে।

রাত পৌণে দুইটায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও উল্লেখযোগ্য জাতীয় পর্যায়ের নেতাদের অনেকেই পরাজিত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, তাঁদের বিপক্ষে কমপক্ষে ৬১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

একই সময়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগ অন্তত ২২২টি আসনে জয় পেয়েছে, যা সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনের চেয়ে বেশি।

সমঝোতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসন ছেড়ে দিলেও প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ১১টিতে জিততে পেরেছেন জাপার প্রার্থীরা। এর ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কমল। বর্তমানে দলটির ২৩ জন নির্বাচিত সংসদ সদস্য রয়েছেন।

স্বতন্ত্র হিসেবে বিজয়ীদের প্রায় সবাই ক্ষমতাসীন দলের নেতা হলেও দলটির মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধেই তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচনে বিরোধী দল বিএনপি ও সমমনা দলগুলো অংশ না নেওয়ায় রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে নিজ দলের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ দেয় আওয়ামী লীগ।

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর কোনো ধরনের বিজয় মিছিল না করার এবং অন্য প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কলহে না জড়াতে রোববার রাতে সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

১৯৯৬ সালে এক মেয়াদ এবং ২০০৮ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদসহ মোট চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। 

হেভিওয়েটদের পরাজয়

১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হয়েও কুষ্টিয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, যিনি সাবেক তথ্যমন্ত্রী এবং জাসদের সভাপতি।

পিরোজপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজের কাছে পরাজিত হয়েছেন জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। সাবেক পরিবেশ মন্ত্রী মঞ্জুর এপিএস ছিলেন মহারাজ। ছয় বারের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টি (জেপির) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, টানা ১৪ বছর মন্ত্রী ছিলেন।

রাজশাহী-২ আসনে হেরেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হাসান বাদশা, সেখানে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশা। যদিও জোটের প্রার্থী হিসেবে বরিশাল-২ আসন থেকে জয়ী হয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত মুখ যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন (ব্যারিস্টার সুমন) হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে বিজয়ী হয়েছেন। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীকে তিনি পরাজিত করেছেন।

মাদারীপুর-৩ (সদর একাংশ, কালকিনি ও ডাসার) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান ওরফে গোলাপকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম।

সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে বিশাল ভোটে হেরেছেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলের চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী। সাবেক এই কূটনীতিক বিএনপি ছেড়ে কিংস পার্টি হিসেবে পরিচিত তৃণমূল বিএনপি গঠনে নেতৃত্ব দেন। তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে হেরেছেন।

টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে হেরে গেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী। সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান (রাঙ্গা) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রংপুর-১ (গংগাচড়া-সিটি আংশিক) আসনে পরাজিত হয়েছেন, এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বিজয়ী হয়েছেন।

মুন্সিগঞ্জ থেকে নির্বাচন করে হেরে গেছেন বিকল্পধারার বর্তমান এমপি মাহী বি চৌধুরী।

36d3c997-58e7-4039-908f-48b08712bf34.jpg
নির্বাচন চলাকালে ঢাকার রাস্তায় বিজিবির টহল। ছবিটি জুরাইন মাদ্রাসা রোড থেকে তোলা। ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ [মেহেদী রানা/বেনারনিউজ]

দুইজনের মৃত্যু, ১৪ প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন

দুই জনের মৃত্যু, বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের মধ্য দিয়ে রোববার শেষ হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

গণমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৪১ জন। এদের মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছেন সাতজন, কারা হেফাজতে মারা গেছেন বিএনপির আরও নয়জন নেতাকর্মী।

মুন্সিগঞ্জ জেলার মিরকাদিম উপজেলায় বিরোধী গ্রুপের সমর্থকদের হাতে নিহত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থক জিল্লুর রহমান (৪০)। কুমিল্লার দেবিদ্বারে ভোটকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হাতাহাতির ঘটনায় নবাব আলী (৬০) নামের এক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন।

তবে নির্বাচন কমিশন বলছে, এসব প্রাণহানি ভোটের সাথে সম্পর্কিত নয়।

রাজধানী ঢাকার হাজারিবাগের আনোয়ারুল উলুম মাদ্রাসা কেন্দ্রে একটি ককটেল বিস্ফোরণ হলে তিন জন আহত হন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বাচ্চু মিয়া বেনারকে বলেন, হাজারিবাগের ককটেল বিস্ফোরণে আহত তিনজনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

তবে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে প্রতিপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুই জন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম-১০ আসনের খুলশীর পাহাড়তলী ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফুলকপি প্রতীকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হুমকি প্রদান করায় চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী আসনের আওয়ামী দলীয় প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে বলে রোববার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম।

নির্বাচনের অনিয়মসহ নানা অভিযোগে সারা দেশে ভোটের দিনে নির্বাচন বর্জন করেছেন ২৮ প্রার্থী। ২৩ আসনের এসব প্রার্থীর মধ্য স্বতন্ত্রসহ অন্য দলের প্রার্থীরাও আছেন।

প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই ভোটে ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল আটটা থেকে এবং চলে একটানা বিকাল চারটা পর্যন্ত। ভোট শেষ হওয়ার পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ৪০ শতাংশ ভোট পড়ার কথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তবে সেটি বাড়তে বা কমতে পারে বলেও তিনি জানান।

ব্যালটের মাধ্যমে গৃহীত ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল জানতে অপেক্ষা করতে হবে সোমবার পর্যন্ত—এমনটি জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।

e3ee89ae-125a-43af-b466-e7e6a35ed1ed.jpg
ঢাকা-৫ আসনে, আর কে চৌধুরী কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন এক নারী। ৭ জানুয়ারি ২০২৪। [সনি রামানী/বেনারনিউজ]

ভোটার উপস্থিতি ছিল কম

সকাল আটটায় ভোট শুরু হওয়ার পর থেকে ঢাকার বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরেছেন বেনার প্রতিনিধি ও ভিডিও দল।

ঢাকা-১৬ আসনের মাজেদুল ইসলাম স্কুল কেন্দ্রের চার নম্বর বুথে ৪৯৯টি ভোটের মধ্যে সকাল নয়টায় তিনটি ভোট পড়ে। তিন নম্বর বুথে মাত্র একটি ভোট পড়ে বলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান।

একই আসনের অনির্বাণ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা খায়রুল আলম বেনারকে জানান, সকাল সাড়ে নয়টায় কেন্দ্রের পাঁচটি বুথে দুই হাজার ৫৬৯ ভোটের মধ্যে মাত্র ৩০টি ভোট পড়ে।

পল্লবী ভোট দিতে এসেছিলেন নিম্ন আব্দুর রহমান (৫৫)।

তিনি বেনারকে বলেন, “আমি ভোট দিতে এসেছি। ভোট না দিলে আমার বাবা-মার বয়স্কভাতার কার্ড বাতিল করে দেবে বলে ওরা জানিয়েছে।”

ঢাকা-১৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর সমর্থক সকাল দশটায় রূপনগর আবাসিক এলাকায় বেনারকে বলেন, “ভাই দেখেন, কোনো প্রকার ঝামেলা নাই, সমস্যা নাই, সুন্দর ব্যবস্থা। কিন্তু সমস্যা একটাই ভোটার নাই।”

তবে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে অভিনব কায়দা দেখা গেছে ঢাকা-১২ আসনে। সিভিল অ্যাভিয়েশন স্কুল ও কলেজ শাহীনবাগ কেন্দ্রের বাইরে ও ভিতরে শত শত মানুষ অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

কেন্দ্রের ভেতরের মাঠের দুই পাশে কয়েক লাইন করে দাঁড়িয়ে ছিলেন মানুষ। তাঁদের কেউই ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন না। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কেন্দ্র পরিদর্শনে আসলে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিরা তাঁকে ঘিরে ধরেন এবং তাঁর সাথে ঘুরে বেড়াতে থাকেন।

লাইনে দাঁড়ানো ব্যক্তি আব্দুল মতিন বেনারকে বলেন, “আমি আওয়ামী লীগের সমর্থক। ভোট দিয়েছি।”

ভোট দেওয়ার পর আবার কেন ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বেনারকে বলেন, “না থাকলে তো আপনারা উল্টাপাল্টা লিখবেন।”

অভিনব কায়দা দেখা গেছে ঢাকা-১৭ আসনের বনানী মডেল স্কুল কেন্দ্রে।

দুপুর পৌনে দুইটায় কেন্দ্রের সামনে ফুটপাতে শতাধিক নারী বসে থাকতে দেখেন বেনার প্রতিনিধি। কয়েক মিনিটের মধ্যেই কর্তব্যরত পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ওই সকল নারীদের দল ধরে ভোটকেন্দ্রে লম্বা হয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে দেন।

কিছুক্ষণ পর একজন পুলিশ কর্মকর্তা ওই কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন। ওই পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পরেই লাইনে দাঁড়ানো নারীরা সরে গিয়ে কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান নেন।

প্রশ্ন করতেই লাইনে দাঁড়ানো বিউটি আখতার বেনারকে জানান, তিনি অনেক আগেই ভোট দিয়েছেন।

ভোট দেওয়ার পরও কেন লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বেনারকে বলেন, “স্যার আসছেন, সেজন্য আমাদের লাইনে দাঁড় করাইছে। স্যার চলে গেছে। তাই চলে যাচ্ছি।”

abc18327-6b94-43be-b6f9-fea3d92790e1.jpg
চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপিকর্মীদের সংঘর্ষের সময় রাস্তায় লাগানো আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন একজন পুলিশ সদস্য। ৭ জানুয়ারি ২০২৪। [মিনহাজ উদ্দিন/বেনারনিউজ]

ভোটারদের ‘অভিবাদন’ জানিয়েছে বিএনপি

ভোট বর্জনের আহ্বানে সাড়া দেওয়ায় ভোটারদের ‘অভিবাদন’ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।

“আমরা জনগণকে ভোট বর্জন করতে বলেছি। তারা এর যথার্থতা উপলব্ধি করে এই নির্বাচন বর্জন করেছে, আমরা তাদের স্যালুট (অভিবাদন) জানাই।

আজ রোববার দুপুরে গুলশানে নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়া জানান মঈন খান। তিনি বলেন, বিএনপির ভোট বর্জন আন্দোলন সফল হয়েছে। আওয়ামী লীগের সমর্থকেরাও ভোট দিতে যাননি।

বিএনপি নেতা মঈন খান বলেন, বিশ্বের মানুষ দেখছে, দেশের মানুষ দেখছে, এই নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ বর্জন করেছে।

উল্লেখ্য, এবারের সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৫৭ জন। তাদের মধ্যে ৬ কোটি ৫ লাখ ৯২ হাজার ১৬৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার ১৪০ জন নারী।

দেশের ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৮টি দল এবারের ভোটে অংশ নয়ে। বিএনপিসহ সমমনা ১৬ দল নির্বাচন বর্জন করেছে।

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।