অবরুদ্ধ মিয়ানমার জান্তা এখন টিকে থাকার লড়াই করছে
2024.04.30

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির নিয়ন্ত্রণ দখল করার পর মাত্র তিন বছরে দেশব্যাপী গৃহযুদ্ধে ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষমতার উপর জান্তার নিয়ন্ত্রণ ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়েছে। গৃহযুদ্ধ এখন জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
মিয়ানমারের প্রত্যন্ত সীমান্ত অঞ্চলে শাসনকে মজবুত করার জন্য যে সামরিক অভিযান শুরু হয়েছিল তা এখন সামরিক বাহিনীর জন্য টিকে থাকার সংগ্রামে রূপান্তরিত হয়েছে।
কারণ বিদ্রোহী বাহিনী আরও ঐক্যবদ্ধ এবং সংঘাতের সাথে আরও বেশি খাপ খাইয়ে নিয়েছে। তারা জান্তা বাহিনীকে একের পর এক যুদ্ধক্ষেত্রে পরাস্ত করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামরিক শাসকদের ভবিষ্যৎ এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে করুণ।
ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল ওয়ার কলেজের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিশ্লেষক জাকারি আবুজা – যিনি রেডিও ফ্রি এশিয়ার জন্য নিয়মিত ভাষ্য লেখেন – বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক কর্তারা দেশটিকে এমন অবস্থায় নামিয়েছেন যে, “তারা করুণ বাস্তবতা অস্বীকার করছেন”।
"অর্থনীতি ইতিমধ্যে ভেঙে পড়েছে,” উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারা একের পর এক যুদ্ধে হেরে গেছে এবং শহরগুলো ক্রমবর্ধমান সহিংসতায় নিমজ্জিত। রাজধানীতে ড্রোন হামলা হয়েছে। জেনারেলরা ছায়া সরকার এনইউজি (জাতীয় ঐক্য সরকার) এবং তাদের মিত্রদের নিরলস চাপে দিশেহারা।”
সেনাবাহিনী বিদ্রোহী বাহিনীর কাছে দেশজুড়ে শহরগুলো হারিয়েছে –বিশেষ করে চীনের সাথে উত্তর সীমান্তে মিয়ানমারের কাচিন রাজ্য, বাংলাদেশের সাথে পশ্চিম সীমান্তে রাখাইন রাজ্য এবং থাইল্যান্ডের সাথে পূর্ব সীমান্তে কায়িন রাজ্য।
বেনার নিউজের সহযোগী সংবাদ প্রতিষ্ঠান রেডিও ফ্রি এশিয়া (আরএফএ)- কে পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, সৈন্যের ঘাটতি এখন মারাত্মক। যুবকদের বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য একটি অজনপ্রিয় আইন করেও বছর শেষে ৫০ হাজারের বেশি নতুন সেনা সংগ্রহ করা যায়নি।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর আগে রাখাইনের জাতিগত ‘আরাকান আর্মি’ বা ‘এএ’ রাজ্যটির ১৭ টি শহরের মধ্যে আটটি, এবং সেইসাথে প্রতিবেশী চিন রাজ্যের একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
জান্তা আর্মির অবস্থা এমনই করুণ, তারা এখন বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শক্তি সঞ্চয়েরর জন্য নির্যাতিত এবং নাগরিকত্ব বঞ্চিত জাতিগত রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক সেনাবাহিনীতে নিয়োগের দিকে ঝুঁকেছে।
মিয়ানমারের বিষয়ে তৎপর মার্কিন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিমি উইন বায়ার্ড বলেছেন, রাখাইনের পরিস্থিতিতে বোঝা যায়, জান্তা এখন দড়ির উপরে রয়েছে।
তিনি আরএফএ বার্মিজকে বলেন, "আগামী ছয় মাসে যে কোনও ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা সামরিক বাহিনীর জন্য কঠিন হবে।"

ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউএস ইনস্টিটিউট অফ পিসের মিয়ানমারের কান্ট্রি ডিরেক্টর জেসন টাওয়ার বলেছেন, সৈন্যের ঘাটতি জান্তার অস্তিত্বের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, " সৈন্যের হারানোর সংখ্যা এত বেশি, যা নতুন নিয়োগ আইন দ্বারা পূরণ করা যাচ্ছে না।" তিনি বলেন, "যেহেতু সদ্য আগত সৈন্যদের যুদ্ধ করতে বাধ্য করা হয়, তাই তারা যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছানোর পরে তাদের আত্মসমর্পণ বা সেনাবাহিনী ছেড়ে পালানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে।"
মিয়াওয়াদ্দির যুদ্ধ
কায়িন রাজ্যের মিয়াওয়াদ্দি শহর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ঐ শহরের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের মায়ে সোটের সাথে সীমান্ত জুড়ে প্রতি বছর ১ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য হয়। জাতিগত কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি, বা কেএনএলএর অধীনে জান্তা বিরোধী যৌথ বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ শহুরে কেন্দ্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে সামরিক বাহিনীর সাথে তুমুল যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে।
গত ১০ এপ্রিল, কেএনএলএ এবং তার সহযোগীরা মিয়াওয়াদ্দির কেন্দ্রস্থলে জান্তার ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন ২৭৫ এর ঘাঁটি দখল করে নেয়। এটি ছিল শহরের শেষ জান্তা ঘাঁটি, যা কার্যকরভাবে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
গত সপ্তাহে সামরিক বাহিনী ঘাঁটিটি পুনরুদ্ধার করলেও কেএনএলএ মিয়াওয়াদ্দি শহরের একাধিক সামরিক ক্যাম্প এবং ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে।
বায়ার্ড উল্লেখ করেছেন, কেএনএলএ’র মতো জাতিগত সেনাবাহিনী ক্রমবর্ধমানভাবে গেরিলাদের সাথে সহযোগিতা করছে। এই গেরিলারা পিপলস ডিফেন্স ফোর্স, বা পিডিএফ নামে স্থানীয় আধাসামরিক গোষ্ঠীগুলির একটি শিথিল জোট তৈরি করেছে। এদের মধ্যে অনেকেই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত মিয়ানমারের সংসদ সদস্যদের দ্বারা গঠিত ছায়া জাতীয় ঐক্য সরকার বা এনইউজি’র প্রতি আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

তিনি বলেন, যেসব জাতিগত বাহিনী যুদ্ধবিরতি করেছে বা সামরিক বাহিনীর সাথে আলোচনায় ছিল, সংঘাত ক্রমশ এগিয়ে যাওয়ায় তারা এখন "তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে"।
"এখন তারা নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় আছে; ক্ষমতার ভারসাম্য কোন দিকে যায় তা মূল্যায়ন করছে," উল্লেখ করে বায়ার্ড বলেন, “তাদের আনুগত্য শেষ পর্যন্ত বিজয়ীর দিকেই যাবে। তারা বিদ্রোহিদের দিকে গেলে একটি বিশেষ পর্যায় আসবে, যাতে বলা যাবে বিপ্লব এখন নাগালের মধ্যে।"
সামরিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার, সাই কি জিন সোয়ে বলেছেন, জাতিগত সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় পিডিএফ গ্রুপগুলির সমন্বয়ে গঠিত জান্তা বিরোধী বাহিনী বাণিজ্য প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যতটা সম্ভব দেশের সীমান্ত এলাকা দখল করার দিকে মনোনিবেশ করেছে বলে মনে হচ্ছে।
"এই প্রচেষ্টায় একাধিক সংগঠন প্রধান ভূমিকায় আছে," উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব আলাদা লক্ষ্য থাকা সত্ত্বেও তারা পরস্পরকে কতটা সহযোগিতা করতে পারছে, তা হবে তাদের সাফল্যের চাবিকাঠি।
"যখন তারা যুদ্ধ শুরু করে, তখন তারা একে অপরের উপর সজাগ দৃষ্টি রাখে বলে মনে হচ্ছে … এই জটিল স্রোতধারার মাঝে সজাগ পর্যবেক্ষণ এবং পারস্পরিক নিয়ন্ত্রণ সংঘাতের গতিশীলতার বৈশিষ্ট্য রচনা করছে,” বলেন তিনি।
বিদ্রোহীদের সহযোগিতা
সুদূর উত্তরের কাচিন রাজ্যে জাতিগত কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি, বা কেআইএ গত ৭ মার্চ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে। এক মাসেরও বেশি যুদ্ধে জান্তা সৈন্যরা এই অঞ্চলের সামরিক ক্যাম্প থেকে ক্রমাগতভাবে পিছু হটেছে। কেআইএ’র তথ্য কর্মকর্তা কর্নেল নাও বু এর মতে, তাদের জাতিগত সেনাবাহিনী এখন ৬০ টিরও বেশি ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণ করে।
কেআইএ এখন চীনের সাথে মিয়ানমারের সীমান্তের একটি উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য কেন্দ্র লুগেল শহর এবং সেইসাথে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত পারাপার ও প্রধান মহাসড়কগুলি নিয়ন্ত্রণ করে।
দক্ষিণের প্রতিবেশী শান রাজ্যে জাতিগত বাহিনীর থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স গত অক্টোবরের শেষ থেকে জান্তার সামরিক বাহিনীকে ধারাবাহিকভাবে পরাস্ত করেছে। তাদের আক্রমণে জেলা পর্যায়ের জনপদসহ ৩২ টি শহর ও গ্রাম দখল হয়েছে।
বায়ার্ড গত বছরের ২৭ অক্টোবর ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স পরিচালিত ‘অপারেশন ১০২৭’ অভিযানকে বিদ্রোহীদের জন্য একটি মাইলফলক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি মনে করেন এর ফলে তারা সেখানে "শক্তির ভারসাম্য অর্জন করেছে।"
"যৌথ অভিযানে বিদ্রোহী পক্ষের অগ্রগতি হয়েছে এবং তাদের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহেরও উন্নতি হয়েছে," তিনি বলেন।
বায়ার্ড বলেন, বিশেষ করে ড্রোনের ব্যবহারে তাদের গোয়েন্দা সামর্থ্য নাটকীয়ভাবে উন্নত হয়েছে। সামরিক জান্তার বিমান হামলা এবং গোলন্দাজ বাহিনীর বিপরীতে সমপর্যায়ে লড়ার কম খরচের পদ্ধতি হিসেবে বিদ্রোহীরা এখন ড্রোন ব্যবহার করছে।
"যদি নজরদারী সক্ষমতা ভালো না হয়, যত ড্রোন থাকুক না কেন, সঠিক লক্ষ্য নির্বাচন করতে না পারলে সেগুলো মূল্যহীন," তিনি বলেন।

কায়াহ রাজ্যে কারেনি আর্মি ও তাদের জাতিগত সহযোগীরা নভেম্বরে একটি আক্রমণ পরিচালনা করে এবং থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী মেস সহ বেশ কয়েকটি শহর দখল করে। গোষ্ঠীটি ঐ প্রদেশের রাজধানী লোইকাউয়ের ৮০% নিয়ন্ত্রণের দাবি করেছে।
সাই কি জিন সোয়ে বলেছেন বিভিন্ন ক্যারেনি গোষ্ঠী একে অপরের সাথে কার্যকরভাবে সহযোগিতা করার ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। তারা তাদের সীমান্তের কাছে বিমান হামলা পরিচালনা ও ভারী কামান ব্যবহার করতে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর অনিচ্ছাকে কাজে লাগিয়েছে।
গোষ্ঠীগুলি প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়ন সংস্থা গঠন করেছে এবং তাদের অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা চালু করেছে, তিনি বলেন।
"এমন অবস্থায় তারা পুনর্বাসন, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে," উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এই ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য ভিন্ন আঞ্চলিক কাঠামো, তুলনামূলকভাবে ছোট জনসংখ্যা এবং বিদ্যমান গোষ্ঠীগুলির মধ্যে আন্তঃসংযোগকে কৃতিত্ব দেয়া যেতে পারে।"
যুদ্ধ এবং শাসন
ভারতের সাথে দেশটির উত্তর সীমান্তে মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ বর্মন সাগাইং অঞ্চলে ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে সামরিক বাহিনীর সাথে তুমুল যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে পিডিএফ।
সেখানে কালে, কানি, মিঙ্গিন, টেদিম, কাওলিন, পিনলেবু এবং তিগ্যাইং শহরে যুদ্ধ চলছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারী মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সাগাইংয়ে পিডিএফের কাছে আত্মসমর্পণ করা প্রথম জনপদ কাওলিন পুনরুদ্ধার করেছে।
ই কি জিন সোয়ে বলেছেন, সাগাইং বিদ্রোহীদের একটি শক্তিশালী ঘাঁটি হলেও এই অঞ্চলে জান্তা বিরোধী শক্তি - বিশেষ করে যারা এনইউজি’র সাথে জোটবদ্ধ নয় - তাদের মধ্যে ঐক্যের পরিবর্তে আত্মকলহ আছে। তাদের আত্মকলহ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের সম্মিলিত লড়াইকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
"তারা একে অপরকে হত্যা করে, পরস্পরকে গ্রেপ্তার করে এবং অন্যান্য পদক্ষেপ নেয়। " তিনি বলেন।
সাই কি জিন সোয়ে বলেন, জান্তার সাথে লড়াই করার পাশাপাশি গোষ্ঠীগুলোকে প্রশাসনিক ব্যবস্থার বিকাশ এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা তৈরি করতে হবে।
"সশস্ত্র সংগ্রামের উদ্দেশ্য হতে হবে জনগণের সর্বনিম্ন ক্ষতি এবং সবচেয়ে বেশি সুরক্ষা। তবেই জনগণ সশস্ত্র বিপ্লবকে বুঝতে এবং গ্রহণ করতে সক্ষম হবে," উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আপনি যদি এমন অবস্থা দিতে না পারেন তবে পরিস্থিতি ভাল হতে পারে না।"
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে মূলত মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় সাগাইং, ম্যাগওয়ে এবং মান্দালে বর্মন সংখ্যাগরিষ্ঠদের সমস্ত ঘাঁটি এবং প্রধান শহরগুলিতে ক্ষমতা ও দখল সংহত রেখেছে।
তবে সামরিক ও রাজনৈতিক উভয়ভাবেই নেতৃত্ব দিতে জান্তার অক্ষমতার কারণে এটি স্থায়ী হবে কিনা তা নিয়ে তাদের প্রশ্ন আছে।

নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যর্থতার দায় জান্তার প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং এবং অন্যান্য সিনিয়র জেনারেলদের।
"যথাযথ জায়গায় সৈন্য মোতায়েনের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলি উপেক্ষিত থেকে গেছে, যা সমাধানের প্রয়োজন। তাছাড়া কৌশলগত আন্দোলন এবং প্রতিরক্ষার ঘাটতি রয়েছে বলে মনে হচ্ছে,” উল্লেখ করে তিনি বলেন "আমাদের সামরিক বাহিনীর ইতিহাসে এ ধরনের (দুর্বল) ব্যবস্থাপনা আমি কখনো দেখিনি।"
ন্যাশনাল ওয়ার কলেজের আবুজা বলেছেন, জান্তাদের জন্য পরিস্থিতি ক্রমাগত অসহায় হয়ে পড়ার এর নেতারা নিজেদেরকে "কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মে ধাবিত করেছে।"
"এই অস্থিরতার মধ্যে, সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিজয় (বিদ্রোহীদের জন্য) বিশৃঙ্খলার মধ্যে নিহিত।"