বাংলাদেশি হামলাকারীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড়
2017.12.11
ওয়াশিংটন ডিসি

নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানে সোমবার সকালে বোমা বিস্ফোরণের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মুখর হয়ে উঠেছে এই হামলার ঘটনায়। সন্দেহভাজন হামলাকারী একজন বাংলাদেশি হওয়ায়, বাংলাদেশি জনগণ এই খবরটি নিয়ে উদ্বেগ এবং উৎকন্ঠা ব্যক্ত করেন। তারা এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানান। কারও কারও প্রতিক্রিয়ায় উঠে আসা নানান শংকা এবং ভয়ের কথা।
ফেসবুকে এই হামলার খবর শেয়ার করে বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকি তার ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন, “হে গর্দভ, তোমার জন্য লজ্জা।”
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি যুবক মোস্তাফিজুর রহমান পুরো ঘটনাকে দেখছেন আরও বৃহৎ পরিসরে। বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রকাশিত একটি বিবৃতি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “সন্ত্রাসী সন্ত্রসীই। তার ধর্ম বা জাতীয়তা যাই হোক না কেন, তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে।”
প্রায় অনুরূপ মন্তব্য করেছেন নিউ ইয়র্ক প্রবাসী সাঈদ মোহাম্মদ । তিনি তাঁর ফেসবুকে লিখেন, এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম বা জাতীয়তা নেই। তাদের একটিই পরিচয়, তারা সন্ত্রাসী।
সাংবাদিক মাসুদুল হাসান রনির প্রতিক্রিয়ায় ক্ষোভের পাশাপাশি বিপদের আশংকাও স্পষ্ট হয়েছে। এই সাংবাদিক তার ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন, “হায় আকাইদ উল্লাহ, তুমি নিজেই ডুবলে না, ডোবালে পুরো বাংলাদেশকে।”
হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই আশংকাও ব্যক্ত করেছেন অসংখ্য মানুষ। সাদেক শিবলি নামের একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন, “এ লজ্জা রাখি কোথায়?”
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশিদের বিপদের আশংকা দেখছেন কেউ কেউ। যেমনটা লিখেছেন নিউ ইয়র্ক প্রবাসী কানন পারভিন। তিনি তার ফেসবুকে লিখেছেন, “এই একজন হামলাকারী লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশি মানুষদেরকে বিপদে ফেলল।”
নিন্দার পাশাপাশি সমবেদনার কথাও ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রায় সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে। মহিতোষ তালুকদার তাপস লিখেছেন, “একটা বাজে সকাল আমার জন্য, আমাদের জন্য, বাংলাদেশিদের জন্য। একটা লজ্জার সকাল আমার জন্য, আমাদের জন্য, বাংলাদেশিদের জন্য।”
কেউ কেউ সমাধানের পথও দেখিয়েছেন। যেমনটা লিখেছেন ভার্জিনিয়া প্রবাসী সঙ্গীত শিল্পী দিনার মনি । তিনি তার ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন, “শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চা আরো বেশি বেশি করে করে এসব মৌলবাদীদের প্রতিহত করতে হবে। আমাদের সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ। রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদেরই।”