নির্বাচনের বছরে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের জেল

জেসমিন পাপড়ি
2018.02.08
ঢাকা
রায়ের দিন কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে উপস্থিত হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রায়ের দিন কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ঢাকার আদালতে উপস্থিত হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
মনিরুল আলম/বেনারনিউজ

আপডেট: ৮ ফেব্রুয়ারি, ইস্টার্ন টাইম জোন বিকেল ০৩:০০

বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া তাঁর বড় ছেলে ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন সড়কের পুরোনো কারাগারে নেওয়া হয়। আপাতত সেখানেই তাঁকে রাখা হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

এই রায়ের পর খালেদা জিয়া এ বছরের শেষে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তবে খালেদার আইনজীবী জানিয়েছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে মামলার কার্যক্রম চলার পর এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান। রায় ঘোষণা উপলক্ষে বিশেষ প্রস্তুতি নেয় সরকার। দেশজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হলেও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ছাড়া বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

দেশের কোনো সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে এই প্রথম দুর্নীতির দায়ে কারাগারে যেতে হলো। এর আগে সাজা ভোগ করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।

গত তিন যুগের রাজনৈতিক জীবনে দ্বিতীয়বারের মতো কারাগারে গেলেন বিএনপির চেয়ারপারসন। এর আগে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বন্দি হন খালেদা। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মুক্ত হন তিনি।

ওই সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও বন্দি করা হয়, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় তাঁরা পাশাপাশি দুটি সাবজেলে ছিলেন। তখন দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দিয়েছিল সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর হাসিনার মামলাগুলো তুলে নিয়েছে সরকার। খালেদা জিয়ার সেই সময়ে​র মামলাগুলো রয়ে​ গেছে, নতুন মামলা হয়েছে। গতকাল একটি মামলার রায় হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে আরও ৩১টি মামলা বিচারাধীন।

স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন একসঙ্গে করেছেন দুই নেত্রী। মূলত তাঁদের আন্দোলনের কারণে ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতন হয়। আড়াই দশকেরও বেশি সময় পর দুই নেত্রীর একজন কারাগারে গেলেন, আরেকজন নির্বাচনের প্রচার করছেন।

“এই রায়ের মধ্যে দিয়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। কেউই যে আইনের ঊর্ধ্বে নয় তা প্রমাণ হয়েছে,” রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তবে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসা পূরণের জন্য আদালত খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে রায় প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।

রায়ের দিন ঢাকায় বিএনপি সমর্থকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
রায়ের দিন ঢাকায় বিএনপি সমর্থকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
মনিরুল আলম/বেনারনিউজ

 

আজ ও কাল বিক্ষোভ

ঢাকা এবং সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিএনপি। রায় ঘোষণার পর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, “খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর সারা দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। কিন্তু সরকার যেন এতে কোনো ধরনের উসকানি না দেয়।”

“শনিবারও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। পরবর্তী কর্মসূচি পরে জানানো হবে,” বলেন ফখরুল।

“এই রায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসা পূরণের রায়। গণতন্ত্রকে ধুয়ে মুছে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই রায়। গণতন্ত্রকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য এই রায়,” রায় ঘোষণার পরপরই নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবীরা।

“নির্বাচন থেকে খালেদা জিয়াকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য এই ফরমায়েশি রায় দেওয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব। আশা করি, সেখানে ন্যায়বিচার পাব,” বেনারকে বলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।

রায় নিয়ে সরকারের বক্তব্য

গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশালে এক জনসভায় বক্তৃতা করেন। আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য তিনি সেখানকার নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান। এসময় প্রধানমন্ত্রী এতিমদের টাকা চুরির অভিযোগে খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, তিনি (খালেদা) এখন কোথায়?

রায় ঘোষণার পর সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী বলেন, “খালেদা জিয়া দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক।”

“এখন এটাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, অপরাধ করলে তাঁর বিচার হয় এবং সুষ্ঠু বিচার হওয়ার পরে তাঁর শাস্তি হয়,” বলেন আনিসুল হক।

এদিকে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আপিলে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “অপরাধ প্রমাণ করতে পেরে আমরা খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন চেয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর বয়স, সামাজিক অবস্থান ও মর্যাদা বিবেচনায় মামলার মূল আসামি সত্ত্বেও তাঁকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।”

 

মামলা, আসামি

এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে কুয়েত থেকে পাঠানো ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০০৮ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা এ মামলার প্রধান আসামি তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

অন্যান্য আসামিরা হলেন খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান এবং মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।

গ্রেপ্তার অব্যাহত

গত কয়েকদিনের মতো রায়ের দিন ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের আটক অব্যাহত রেখছে পুলিশ। এদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯৯ জনকে আটকের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ঢাকার বাইরে ১৫টি জেলা থেকে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ১৯০ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়।

এই নিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি থেকে ১০ দিনে গ্রেপ্তার হলো তিন হাজারেরর বেশি নেতা–কর্মী। এই সময় দলের সাড়ে তিন হাজার নেতা–কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে বলে গতকাল বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রায়ের আগে ও পরে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাসসহ দলের অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা–কর্মীকে আটক করে পুলিশ।

গুলশান থেকে বকশীবাজার

রায় উপলক্ষে গতকাল দুপুর পৌনে দুইটার দিকে বকশীবাজারে আদালতে পৌঁছান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এদিন ঢাকায় মিছিল জমায়েত নিষিদ্ধ থাকলেও মগবাজার এলাকা থেকে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের সঙ্গে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী যোগ দেন।

একপর্যায়ে কাকরাইল মোড়ে পৌঁছালে নেতা–কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ কর্মীরা।

পুলিশের ছোড়া গ্যাসে বেশ কিছু নেতা-কর্মী বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেও বহু নেতা-কর্মী গাড়ির সঙ্গে আদালতের পথে যেতে থাকেন। এসব এলাকায় বিপুলসংখ্যক র‍্যাব–পুলিশ মোতায়েন ছিল। ফলে নেতা–কর্মীরা আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারেনি।

রায়ের পর আদালত প্রাঙ্গণ থেকে শিমুল বিশ্বাসকে আটক করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের কারাদণ্ডের প্রতিবাদে নয়া পল্টনে মিছিল বের করলে সেখানেও পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদল কর্মীদের সংঘর্ষের পর সংগঠনটির সভাপতি রাজীব আহসানসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

এ ছাড়া দেশের কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়েছে।

ঢাকায় আদালত প্রাঙ্গনে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের বিক্ষোভ। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
ঢাকায় আদালত প্রাঙ্গনে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের বিক্ষোভ। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
মনিরুল আলম/বেনারনিউজ

 

নির্বাচনে যোগ্য-অযোগ্য নিয়ে সংশয়

এদিকে দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজার রায় হওয়ায় তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

“সংবিধানে বলা আছে, নৈতিক স্খলনের জন্য দুই বছরের অধিক সময় যদি কারও সাজা হয় তাহলে তিনি সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন না,” সাংবাদিকদের বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের দুটি রায়ের প্রসঙ্গ এনে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে সুনিশ্চিত বলা হয়েছে আপিল যতক্ষণ পর্যন্ত শেষ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই মামলাটা পূর্ণাঙ্গ স্থানে যায়নি, সে জন্য দণ্ডপ্রাপ্ত হননি মর্মে ইলেকশন করতে পারবেন।”

“আবার আরেকটা রায়ে আছে পারবেন না। এখন ওনার (খালেদা জিয়া) ব্যাপারে আপিল বিভাগ এবং স্বাধীন নির্বাচন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেবেন সেটা তাদের ব্যাপার,” বলেন আনিসুল হক।

প্রথম শ্রেণীর বন্দির মর্যাদা

​বকশীবাজারের যে বিশেষ জজ আদালতে খালেদা জিয়ার রায় ঘোষণা করা হয়েছে, সেই এজলাস থেকে হাঁটা দূরত্বে অবস্থিত নাজিমউদ্দিন রোডের উঁচু লাল দেয়ালঘেরা পুরাতন কারাগারটি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে খালেদা জিয়াকে কোথায় রাখা হবে এমন কানাঘুষার মধ্যেই বেশ কয়েক দিন ধরে এই কারাগারটির কয়েকটি কক্ষ প্রস্তুতের খবর পাওয়া যাচ্ছিল। রায়ের কিছুক্ষণ পরেই নিজের গাড়িতে করে খালেদাকে সেখানে নেওয়া হয়।

“খালেদা জিয়ার ‘বয়স, সামাজিক মর্যাদা ও অবস্থান’ বিবেচনা করেই পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে তাঁকে রাখা হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বড় একটি রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন। সবকিছু বিবেচনা করেই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে,” সাংবাদিকদের বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

২২৮ বছরের পুরোনো কারাগারটি একসময় সরগরম থাকলেও এখন সেটি পরিত্যক্ত ও নির্জন। ২০১৬ সালের ২৯ জুলাই পুরোনো এই কেন্দ্রীয় কারাগারের সকল বন্দীকে কেরানীগঞ্জের নতুন কারাগারে নেওয়া হয়। পরে ১৭ একরের এই জায়গায় জাদুঘর, বিনোদনকেন্দ্র ও উন্মুক্ত স্থান করার উদ্যোগ নেয় সরকার।

সাত হাজার বন্দি ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে এখন খালেদা জিয়াই একমাত্র বন্দি। যেটাকে এখন বিশেষ জেল বলছে কারা কর্তৃপক্ষ।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, বন্দি অবস্থায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া কারাগারে প্রথম শ্রেণির বন্দির (ডিভিশন-১) মর্যাদা পাবেন। আদালতে আবেদনের প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার গৃহকর্মী ফাতেমাকে তাঁর সঙ্গে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।