দুর্গা পূজা: ধর্মীয় রীতি ছাপিয়ে মিলনোৎসব
2017.09.29
কলকাতা ও ঢাকা
বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা। তবে শুধু হিন্দুরাই নন, সব ধর্মের মানুষ এই উৎসবে অংশগ্রহণ করছেন। কলকাতা ও ঢাকায় ধর্মীয় রীতির নিয়মতান্ত্রিকতাকে ছাপিয়ে পূজা পরিণত হয়েছে মিলনোৎসবে।
“আগে মুসলমানরা পাশে থেকে পুজো উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতেন। কিন্তু এখন মুসলমানদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ বেড়ে চলেছে। মূর্তি তৈরিতেও হাত লাগাচ্ছেন মুসলমান শিল্পীরা,” বেনারকে বলেন কলকাতার সাহিত্যিক আবুল বাশার।
বাঙালি হিন্দুদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দেবী দুর্গাকে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির প্রতীক বলে মনে করা হয়। আশ্বিন মাসের ষষ্ঠী তিথিতে দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় দুর্গোৎসবের।
“পুজায় আমরা সবার মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করি। সব ধর্মের সকল মানুষ ভালো থাকুক, শান্তিতে থাকুক এটাই চাই,” বৃহস্পতিবার ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে পূজা দেখতে এসে বেনারকে বলেন তাপসী রানি বাগচী।
এ বছর পশ্চিমবঙ্গে ৩৩ হাজার সর্বজনীন দুর্গা পূজার আযোজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ পুরকায়স্থ। আর বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের হিসাব অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশে মণ্ডপের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৯৫।
“মণ্ডপ ও মূর্তি তৈরিতে এখন শিল্পসৃষ্টিই প্রধান হয়ে উঠেছে। উঠে আসছে লোকশিল্পের নানা রূপ। থিমের পাশাপাশি ঐতিহ্যের মেল বন্ধনও ঘটছে,” বেনারকে বলেন কলকাতার শিল্পী শ্যামল নন্দী।
গত বুধবার শুরু হয়ে চার দিন ধরে চলা এই উৎসবের সমাপ্তি হবে শনিবার দশমীতে দেবীর বিসর্জনের মাধ্যমে।