জামিনে মুক্তি পেলেন প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান
2016.09.06
যায় যায় দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক ও প্রবীণ সাংবাদিক ও লেখক শফিক রেহমান জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তাঁর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের’ মামলায় আপিল বিভাগ থেকে জামিন পাওয়ার পাঁচদিন পর গতকাল মঙ্গলবার কারামুক্ত হন তিনি।
পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে তিন মাসের জন্য অথবা ওই মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিনে থাকতে পারবেন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দুপুর একটার দিকে বের হয়ে সরাসরি রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হন শফিক রেহমান।
“উনি নানারকম শারিরীক সমস্যায় ভুগছেন। এ জন্য সুচিকিৎসা নেওয়াটা জরুরী হয়ে পড়েছে,” বেনারকে জানান শফিক রেহমানের ব্যক্তিগত সহকারী সজীব ওনাসিস।
গতকাল কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পর শফিক রেহমানকে তাঁর প্রিয় গোলাপ ফুল দিয়ে বরণ করে নেন স্ত্রী তালেয়া রেহমান।
এ মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন না মঞ্জুর হলে শফিক রেহমান হাই কোর্টে আবেদন করেন, যার ওপর শুনানি শেষে ৭ জুন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাই কোর্টের বেঞ্চ তা খারিজ করে দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ১৭ জুলাই আপিলের অনুমতি পান তিনি।
জামিন খারিজ করে দেওয়া হাই কোর্টের সেই আদেশের বিরুদ্ধে শফিক রেহমানের করা আপিল মঞ্জুর করে গত ৩১ আগস্ট প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ তাঁকে জামিন দেন।
“সোমবার রাতে তাঁর জামিনের কাগজপত্র আসার পর যাচাইবাছাই করা হয়েছে। এরপর তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়,” বেনারকে জানান কারাগারের জেলার মো. নাসির আহমেদ।
প্রধানমন্ত্রীর পূত্র জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে ‘অপহরণের লক্ষ্যে’ তাঁরসম্পর্কে তথ্য পেতে এফবিআইয়ের এক এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ায় দেশটির আদালতে গত বছর প্রবাসী এক বিএনপি নেতার ছেলের কারাদণ্ড হয়। সেই রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় করা এক মামলায় গত ১৬ এপ্রিল যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর দুই দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিএনপিঘনিষ্ঠ এই সম্পাদককে। ওই বাসায় তল্লাশি চালিয়ে জয় সংক্রান্ত কিছু গোপনীয় নথিপত্র পাওয়া গেছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের দাবি।
শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রেহমানের দাবি হচ্ছে, ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিক’ হিসেবে লেখার জন্যই তাঁর স্বামী ওই তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন।
মুক্তি পেলেন সিদ্দিকুর রহমান
জামিনে মুক্তি পেলেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক শিক্ষার সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খান। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আতাউর রহমান শুনানি শেষে সিদ্দিকুর রহমানকে জামিনে মুক্তির আদেশ দেন।
“কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সিদ্দিকুর রহমান ছাড়া পেয়েছেন,” বেনারকে জানান তাঁর ছোট ভাই সাংবাদিক মশিউর রহমান।
প্রকাশিত সংবাদকে কেন্দ্র করে আইসিটি আইনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুনের করা একটি মামলায় গত বৃহস্পতিবার সিদ্দিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর স্বামী সরকারদলীয় একজন সাংসদ ও ভাই একজন মন্ত্রী।