মাদক বিরোধী অভিযানে হতাহতের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

কামরান রেজা চৌধুরী
2018.06.13
ঢাকা
ঢাকায় র‍্যাবের মাদক বিরোধী অভিযান। ঢাকায় র‍্যাবের মাদক বিরোধী অভিযান। ২৬ মে ২০১৮।
এপি

মাদক বিরোধী অভিযানে মানবাধিকার সুরক্ষার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে এখন পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ১৪৭ জন নিহত ও ২১ হাজার মানুষ গ্রেপ্তারের ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

তবে মাদক বিরোধী অভিযানে কোনো ধরনের বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেনি বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ।

গত মাসের ১৪ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই অভিযান শুরু হয়। এই অভিযানে নিহত প্রত্যেককেই মাদক ব্যবসায়ী বলে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ সরকার।

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতে, এরা সবাই অভিযানের সময় হয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে অথবা নিজেদের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

“আমরা বাংলাদেশের প্রতি সবগুলো বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত অভিযোগের স্বচ্ছ ও নিবীড় তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি,” বিবৃতিতে বলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হেদার নুয়ার্ট।

মাদককে সারা বিশ্বের জন্যই ‘অভিশাপস্বরূপ’ আখ্যায়িত করে নুয়ার্ট বলেন, “বাংলাদেশের অবশ্যই এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের আচরণে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে, যার মধ্যে রয়েছে সকল সন্দেহভাজনের নিরপরাধ হিসেবে প্রমাণিত হবার সম্ভাবনা এবং আইনের আশ্রয় পাবার অধিকার।”

“আমরা মানবাধিকারের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির সম্পূর্ণ প্রতিফলন দেখতে চাই,” বলেন নুয়ার্ট।

যুক্তরাষ্ট্রের এই বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় “চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে কোনো ধরনের বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেনি” বলে বেনারের কাছে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, “মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়ে আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি সদস্যই প্রশিক্ষিত।”

তবে “অপরাধীদের আক্রমণের মুখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে,” জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা অবশ্যই প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করব।”

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।