বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় বিদ্রোহীদের কাছে ২০০ মিয়ানমার সেনার আত্মসমর্পণ
2024.05.06

বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার জান্তা সরকারের সদরদপ্তর বেদখল হবার পর দেশটির অন্তত ২০০ সেনা বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে সোমবার জানিয়েছে জান্তাবিরোধী জোট।
জাতিগত সংখ্যালঘুদের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যে গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি ছাউনি দখল করে নেয়। আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সংগ্রাম করা আরাকান আর্মি গত নভেম্বরে বছরখানেকের অস্ত্রবিরতি ভেঙে দেশটির সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে।
২০২১ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর বিদ্রোহীদের অব্যাহত লড়াইর সর্বশেষ ঘটনা হলো প্রায় ১২ দিনের যুদ্ধের পর মিয়ানমারের ১৫ নম্বর অপারেশন কমান্ড হেডকোয়ার্টারের পতন।
মিয়ানমারের সেনা ও অন্যদের আত্মসমর্পণের ভিডিও প্রচার করেছে আরাকান আর্মি। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ভিডিওতে উপস্থিত ওই ২০০ জনের কয়েকজনকে গত মার্চ-এপ্রিলে পাঁচটি ব্যাটেলিয়ন থেকে আটকরা করা হয়।
মার্চের ২৫ থেকে মে’র ৩ তারিখের ভেতর “কঠোর লড়াইর পর ওই ব্যাটেলিয়নগুলো দখল করা হয়,” জানায় আরাকান আর্মি।
এর আগে রোহিঙ্গারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, মিয়ানমার সরকার জোরপূর্বক তাঁদেরকে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করছে। আরাকান আর্মি প্রচারিত ভিডিওতেও আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গার উপস্থিতিও দেখা যায়।

মিয়ানমারের মোট কত সৈনিক আরাকান আর্মির হাতে আটক রয়েছেন সে বিষয়ে সংগঠনটি কিছু জানায়নি। তারা জানিয়েছে, অপারেশন কমান্ড হেডকোয়ার্টার্স অবরোধের পর এই সৈনিকরা আত্মসমর্পণ করেছেন।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য বেনারনিউজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান রেডিও ফ্রি এশিয়া থেকে রাখাইনে সামরিক সরকারের মুখপাত্র হ্লা থেইনকে ফোন করলে তিনি ধরেননি।
বুথিডং-এ মিয়ানমার সরকারের ১২টি মিলিটারি কাউন্সিল ব্যাটেলিয়নের মধ্যে ১৫ নম্বর অপারেশন কমান্ড হেডকোয়ার্টার্সের অধীনে ছিল বেদখল হওয়া পাঁচটি ব্যাটেলিয়ন। যার মধ্যে হেড কোয়ার্টার্স ছাড়া অন্য চারটি ৫৫২, ৫৬৪, ৫৬৫ ও ৫৫১ নম্বর ব্যাটেলিয়ন বলে বিবৃতিতে জানায় আরাকান আর্মি।
গত নভেম্বর থেকে আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের নয়টি শহর দখলে নিয়েছে। এছাড়া বর্তমানে অ্যান, বুথিডং, মংডু এবং কিয়াউকপু শহরে মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সাথে তাদের তুমুল লড়াই চলছে।