মালয়েশিয়া পৌঁছাল রোহিঙ্গাবাহী নৌকা

হাতা ওয়াহারি
2018.04.04
কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া
উপকূলে পৌঁছার পর রোহিঙ্গাবাহী নৌকাটিকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মালয়েশিয়া নৌবাহিনীর একজন সদস্য। উপকূলে পৌঁছার পর রোহিঙ্গাবাহী নৌকাটিকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মালয়েশিয়া নৌবাহিনীর একজন সদস্য। ৩ এপ্রিল ২০১৮।
সৌজন্যে: মালয়েশিয়া নৌবাহিনী

রাখাইন থেকে অর্ধ শতাধিক রোহিঙ্গা নিয়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাবার পথে থাই উপকূলে বিরতি দিয়ে একটি নৌকা মালয়েশিয়া পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্তৃপক্ষ।

তবে নৌকাটি কক্সবাজার থেকে গেছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।

মঙ্গলবার ২০ শিশু ও ২৯ নারীসহ ৫৬জন যাত্রীর নৌকাটিকে মালয়েশিয়ান কতৃর্পক্ষ দেশটির লংকাউয়ে উপকূলে নিজেদের জিম্মায় নেয়।

আরোহীদের কাছে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় প্রাথমিক সহায়তা দিয়ে পরবর্তীতে তাঁদেরকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়া নৌবাহিনীর উত্তরাঞ্চলের পরিচালক ফার্স্ট অ্যাডমিরাল হাজি রোজালি মোহাম্মদ।

রোহিঙ্গাদের এই নৌকাটি রাখাইন থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে খারাপ আবহাওয়ার কারণে রোববার ভোররাতে আন্দামান সাগরের কাছে থাই উপকূলে ভিড়েছিল বলে জানিয়েছিলেন থাই কর্মকর্তারা।

থাইল্যান্ডে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবার সুযোগ না থাকায় নৌকাটিকে প্রথামিক সাহায্য দিয়ে রোববারই সমুদ্রে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে বেনারকে জানান থাই পুলিশের কর্নেল এমএল পাতানাচাক চাকরাভান।

এদিকে নৌকাটি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে গেছে বলে বেনারকে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ান মেরিটাইম ইনফোরসেন্সমেন্ট এজেন্সির (এমএমইএ) মহাপরিচালক।

বিষয়টি নিয়ে মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি।

তবে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে কোনো নৌকা সমুদ্রপথে যাবার ঘটনা ঘটেনি বলে বেনারকে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরোজুল হক টুটুল।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর ঘটনাটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে।

সংস্থাটির মুখপাত্র অ্যান্ড্রুজ মাহেচিজ এক ইমেইল বার্তায় বেনারকে বলেন, “ইউএনএইচসিআর ঘটনাটিকে মালয়েশিয়ান সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। এটি শরণার্থী সুরক্ষা এবং সাগরে ভাসা ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের জন্য আন্তজার্তিক অনুসৃত রীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।”

ইতিমধ্যে ইউএনএইচসিআর মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছে বলেও জানান তিনি।

“আন্তজার্তিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই শরণার্থীদের যেকোনো সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি,” বলেন অ্যান্ড্রুজ।

মন্তব্য করুন

নীচের ফর্মে আপনার মন্তব্য যোগ করে টেক্সট লিখুন। একজন মডারেটর মন্তব্য সমূহ এপ্রুভ করে থাকেন এবং সঠিক সংবাদর নীতিমালা অনুসারে এডিট করে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ হয় না, প্রকাশিত কোনো মতামতের জন্য সঠিক সংবাদ দায়ী নয়। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং বিষয় বস্তুর প্রতি আবদ্ধ থাকুন।