ইসলামি দেশগুলোর সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইর প্রতিশ্রুতি
2017.11.27
ওয়াশিংটন ডিসি

মুসলিম দেশগুলোতে ক্রমবর্ধমান জঙ্গিবাদের হুমকি সৌদি আরবের নেতৃত্বে মোকাবেলার প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে রোববার রিয়াদে শেষ হলো বাংলাদেশসহ ৪১ টি সুন্নি প্রধান দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের প্রথম সম্মেলন।
সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে 'ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টার টেররিজম কোয়ালিশন (আইএমসিটিসি)' নামের এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
এতে জোটভুক্ত দেশগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহম্মেদ সিদ্দিক অংশগ্রহণ করেন।
সন্ত্রাস বিরোধী সহযোগিতার জন্য গঠিত এই ফোরামের সম্মেলন শেষে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ইসলামিক বিশ্বে আগের যে কোনো সময় থেকে সন্ত্রাসবাদ এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।”
অতীতে মুসলিম দেশগুলোর ভেতর সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় ঐক্য না থাকার কারণেই প্রতিটি রাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের হুমকিতে ছিল বলে মন্তব্য করেন যুবরাজ সালমান।
সদস্য দেশগুলো এখন থেকে অর্থনীতি, সামরিক, গোয়েন্দা ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করবে বলে জানান সৌদি যুবরাজ।
দৈনিক ইত্তেফাক জানায়, সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে।”
বাংলাদেশ সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশ তার ভূখণ্ড ব্যবহার করার অনুমতি দেয় না বলেও সম্মেলনকে জানান বাংলাদেশ প্রতিনিধি।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা সৌদি আরবকে জোট গঠনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে জোটে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন বলেও জানায় ইত্তেফাক।
তবে এর আগে মে মাসে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, “যদি আমাদের সাহায্য চাওয়া হয়, সৌদি আরব আমাদের সহায়তা চাইলে আমরা অবশ্যই সৈন্য পাঠাব।”
মক্কা ও মদিনায় ইসলামের দুটি পবিত্র স্থাপনা হুমকির সম্মুখীন হলে বাংলাদেশ সৌদি আরবে সৈন্য পাঠাবে বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সৌদি-নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসবাদ বিরোধী এই জোটে সৌদি আরবের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইরানসহ আরো অনেক মুসলিম দেশ না থাকলেও এই জোট শুধু সুন্নিদের জোট নয় বলে দাবি করা হয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।